হোটেল-রুমে মৃত্যু হলে কী হয়?

মানুষের কৌতুহলের শেষ নাই। আর বেশিভাগ ক্ষেত্রেই হোটেলে মৃত্যুর সংবাদ পেলে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে বলে ধরে নেয়া হয়।

এইতো কিছুদিন আগে দুবাইয়ের হোটেলে বাথরুমের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবীর। ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে এমনই জানা গিয়েছে। তবুও এই মৃত্যু ঘিরে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। আর তার অন্যতম কারণ হল, নিজের বাড়িতে নয়। হোটেলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

বহু থ্রিলার গল্প বা ছবির প্রেক্ষাপটই হয় হোটেলের ঘরে মৃত্যু। আর হোটেলে মৃত্যু শুনলেই, তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে শ্রীদেবী প্রথম নন, শশী তারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুও হয়েছিল হোটেলে। কিন্তু হোটেলে মৃত্যু বা অপমৃত্যু হলে সেই ঘরটির কী হয়?

এই সম্পর্কে ব্লগে কয়েকটি তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক একটি হোটেলের ম্যানেজার, মাইক হোলোওয়ক্স—

১. কেউ হোটেলে মারা গেলে সেই ঘরটি প্রথমে সিল করে দেওয়া হয়।

২. ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগে হোটেলের কোনও স্টাফ সেই ঘরের কিছু ব্যবহার করতে পারেন না।

৩. তদন্ত যতদিন চলে, ততদিন সেই হোটেল রুম কোনও ভাবে ব্যবহার করতে পারে না হোটেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষ হলে সেই রুম আবার ব্যবহার করা যায়।

৪. তদন্ত শেষ হওয়ার পরে সেই ঘরের প্রতিটি কোণ পরিষ্কার করা হয়।

৫. হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রাণপণ চেষ্টা করেন, যাতে সেই রুম নম্বরটি জানাজানি না হয়ে যায়। কারণ জানাজানি হলেই সেই রুমে আর কেউ থাকতে চায় না।

৬. যদি হোটেলের সেই রুমটির নম্বর জানাজানি হয়ে যায়, তাহলে সেই নম্বর বদলে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন: