শৈশবেই হোক বা কৈশোরে বা প্রাপ্তবয়স্কালে- একটি প্রশ্ন বারবার আমাদের মন থেকে উঁকি দিয়ে ওঠে যে এরোপ্লেনে মানুষ মলত্যাগ করলে তা কোথায় যায়।
ট্রেনে মলত্যাগ করলে আমরা সকলেই জানি যে সেগুলি রেল লাইনেই পরে কিন্তু প্লেনেও কি তাই হয়? যদি তাই হতো তাহলে কখনো না কখনো সেগুলি বাড়ির ছাদে বা রাস্তা ঘটে অথবা কারো গালে বা মাথায় ঠিক পড়তো?
কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটতে কোনোদিন শুনিনি আমরা। তাহলে বর্জ্য পদার্থ যায় কোথায়? আপনাদের এই কৌতূহল দূর করতেই আজকের আলোচনা।
আসল ব্যাপার হলো, প্রতিটি এরোপ্লেনেই মল বা বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার জন্য অনেকগুলি ট্যাংক থাকে। আপনি মলত্যাগ করে ফ্ল্যাশ করলেই সেই মল সঙ্গে সঙ্গে একটি সাকশন ট্যাঙ্কে গিয়ে জমা হয় যতক্ষণ না সেটি সম্পূর্ণ ভর্তি হচ্ছে।
হোল্ডিং ট্যাঙ্কগুলির একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা থাকে। সেগুলি ভর্তি হলেই তাদের মুখ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হয়। অন্তত ২০ গ্যালন বর্জ্য ধরণের ক্ষমতা রাখে এক একটি ট্যাংক।
অর্থাৎ সব মিলিয়ে একটি এরোপ্লেন প্রায় ১০০ গ্যালন বর্জ্য ধরণের ক্ষমতা রাখে। প্লেনটি মাটিতে নেমে এলে বর্জ্য ধারণ করার ট্রাক এসে স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলিকে নিচের হুকের সাথে জয়েন করে সেগুলি নিয়ে যায়।
এইভাবেই আপনার এবং সাথীদের দুর্গন্ধযুক্ত মল প্লেনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সঠিক জায়গায় তাদের প্রেরণ করা হয়। এটি দেখতেও যেরকম জঘন্য তার দুর্গন্ধে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করেই এর ব্যবস্থা করা হয়।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৭ মে ২০১৮, ১২:২৮ অপরাহ্ণ ১২:২৮ অপরাহ্ণ
চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক…
জুলাই বিপ্লবে সকল শহীদে স্বপ্ন পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.…
রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে নতুন পররাষ্ট্রসচিব করা হয়েছে। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের স্থলাভিষিক্ত…