বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-চট্রগ্রাম ভায়া কুমিল্লা বা লাকসাম হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণের উদ্দেশে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিজাইন নির্মাণের চুক্তি আজ বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না রেলওয়ে ডিজাইন কর্পোরেশন এবং মজুমদার এন্টার প্রাইজ (বাংলাদেশ) যৌথভাবে এ কাজ করবে। আজ রেলভবনে এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোঃ কামরুল আহসান এবং কনসালটেন্সির পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্ট বিজনেস ম্যানেজার লিও উইচাও।
চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং ডিটেইলড ডিজাইন কাজ শেষ হবে। বাংলাদেশী টাকায় ১০২ কোটি ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৩০ টাকা চুক্তি মূল্য । সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কনসালটেন্সি সার্ভিসের কাজ করা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত রুট অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য ৯১ কি.মি. কমে হবে ২৩০ কি.মি.। তিনি বলেন, ২০০ কি.মি. গতির ট্রেন চালানোর মাধ্যমে দেড় থেকে দুই ঘন্টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম আসা যাওয়া করা যাবে। এতে করে দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এই ট্রেন সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, বর্তমান সরকার রেলখাতের উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩১ মে ২০১৮, ৮:০৬ অপরাহ্ণ ৮:০৬ অপরাহ্ণ
চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক…
জুলাই বিপ্লবে সকল শহীদে স্বপ্ন পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.…
রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে নতুন পররাষ্ট্রসচিব করা হয়েছে। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের স্থলাভিষিক্ত…