এই সুন্দরী হিজরা কে দেখে ঐশ্বর্য রায় এর মত আপনারও হুশ উড়বে!

এই পৃথিবীতে ভগবান মানুষকে তিনরূপে সৃষ্টি করেছেন।একজনকে পুরুষ ,একজনকে মহিলা ও আর একজন কে হিজড়া। সমাজে সকল পুরুষ, মহিলাদের সম্মানএর সাথে দেখা হয়, কিন্তু ভাবার বিষয় এটা যে হিজড়া কে সমাজের সবচে নিচের দিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আপনারা এটা ভেবে অবাক হবেন যে হিজরারা সাধারণ মানুষের শারীরিক সম্পর্কের পরেই স্বাভাবিক বাচ্ছা দের মতোই জন্মগ্রহণ করেন।কিন্তু এরা পুরোপুরি নারী বা পুরুষ হয় না তাই এদেরকে হিজরা নামকরণ করা হয়েছে।

আপনারা প্রায়ই কোনো বিবাহ,কোনো খুশির কাজের সময় হিজরাদের নাচ গান করতে দেখে থাকবেন।তাই নাচ গান করা এদের পেশা হয়ে উঠেছে। এর জন্য এদের এতটা আর্থিক অবস্থা ও সমাজের নোংরা চিন্তা।

আমাদের সমাজ পুরুষ বা মহিলাদের যতটা সম্মান দেয় তা এই হিজরা দের দেয় না। এমনকি তাদের নিজেদের বাবা মা রাও তাদের মারা যাওয়ার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেয় এবং তাদেরকে একটা বোঝা মনে করে।

এই সুন্দরী হিজরা কে দেখে ঐশ্বর্য রায় এর মত আপনারও হুশ উড়ে যাবে, দেখুন ছবিগুলো!!

হিজরা রাও ঈশ্বরএর সৃষ্ট প্রাণী ,তাদের ও সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।কিন্তু আমাদের সমাজ হিজড়াদের নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা বদলানোর জন্য রাজি নন। বেশিভাগ হিজরা রা নিজেদের রোজগার এর জন্য নাজ গান করে,তারা অন্যদের কে খুশি দিয়া নিজে রোজগার করে থাকে।

আজ আমরা আপনাদেরকে এমন একজন এর সাথে পরিচয় করতে যাচ্ছি যাকে দেখার পর আপনার কল্পনাও করতে পারবেননা যে সে প্রকৃতপক্ষে একজন হিজড়া। প্রকৃতপক্ষে ভারতে বসবাসকারি বিশেষ হিউরেম কে দেখতে হুবহু মহিলাদের মত দেখতে।

এছাড়াও বলে রাখি যে বিশেষ এতটাই সুন্দরী যে এর চর্চা দেশেই নয় বিদেশেও এর চর্চা করা হয়।থাইল্যান্ডের চুনবুড়িতে একটি প্রতিযোগিতায় 30 জনের মধ্যে বিশেষ এর নাম ছিল সবার উপরে।

প্রতিবেদন এর মতে , প্রতি বছর থাইল্যান্ড এ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং যেখানে বিশ্বের সমস্ত হিজড়াদের তাদের সৌন্দর্য দেখানোর ব্যাবস্থা করা হয়। 2004 সালে প্রথম এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।

বিশেষ এর পিতা মাতা জানতে পারেন যে একজন হিজড়া জন্ম দিয়েছেন। তাই তানারা তাকে তার মানসিকতা ব্যাবহার করার জায়গা করে দেন এবং সাবধানে ও শান্তি ভাবে কাজ করার করেন ও প্রতি পদক্ষেপে তাকে সমর্থন করেন।

বিশেষ এর বাবা মাইনগলেম কে যখন তার বাচ্ছার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি প্রথমে বিশেষ এর ব্যাক্তিত্ব নিয়ে বলেন কিন্তু বরে তার ব্যাক্তিত্ব কে স্বীকার করেন।

একই মান খোমাদানবী বলেন যে শুরুতে যখন বিশেষ মেয়েদের জামাকাপড় পড়তে আগ্রহী ছিলেন তখন তার রাগ হতো ,পরে তার মত কে গ্রহণ করে নেন তিনি।

যাইহোক,বিশেষ এর বাবা মা তাকে ছেলেদের মতো করে পালন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু যখন জানতে পারেন যে তার বাচ্ছা মেয়েদের জামা কাপড়এ বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে তখন তানারা তাদের ভাবনা বদলে নেন।

এখন বিশেষ এর সৌন্দর্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তার সৌন্দর্য দেখে অনেকে তাকে ঐশ্বর্য রায় এর মতো বিশেষত্ব সৌন্দর্য তুলনা করেছেন।

শেয়ার করুন: