সাবধান! রাজধানীতে সক্রিয় ১০ ছিনতাইকারী চক্র, জেনে নিন কোন কোন এলাকায় ঝুঁকি বেশি

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কমপক্ষে ১০টি ছিনতাইকারীর দল। ব্যাংক লেনদেন ও শপিং শেষে ফেরার পথে এখন তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকে।

রমজানে গভীর রাতে যারা বাড়ি ফিরছেন তাদেরকেই টার্গেট করছে এসব ছিনতাইকারীর দল।ডেমরা, সবুজবাগ, মতিঝিল, গুলবাগ, কাকরাইল, ভাটারা, ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নির্জন রাস্তায় চক্রগুলো ওত পেতে থাকে। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ঈদ এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে মৌসুমি কয়েকটি ছিনতাইকারীর দল। রমজান মাসে তারা ইফতার ও সেহরির সময়টাকে ছিনতাইয়ের জন্য বেছে নেয়। এ সময়টাতে রাস্তাঘাট নিরিবিলি থাকায় সহজেই কাউকে টার্গেট করে তার সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে তারা। এছাড়া অফিস ছুটির পর গাড়ির অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদেরও গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার নামে সর্বস্ব লুটে নেয় এ চক্রটি।

নিজেদের ব্যবহূত ভাড়ার প্রাইভেটকার বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের ছদ্মবেশে তারা যাত্রী উঠিয়ে নেয়। পরে নিরাপদ জায়গায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে একজন বিকাশকর্মী। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া কালে মারা যায় আরো একজন।

ডিএমপির (মিডিয়া) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইতোপূর্বে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে ছিনকারীদের দৌরাত্ম কমেছিলো ঠিকই কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে এসব ছিনতাইকারীর দল এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে।’

তবে এসব ছিনতাইকারী ও প্রতারকচক্র প্রতিরোধে পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি জানান, ‘রমজানে ছিনতাইকারী চক্রগুলো বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট, বাস টার্মিনাল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে থাকে।

এসব এলাকায় তারা নির্দিষ্ট লোককে টার্গেট করে সুবিধামতো জায়গায় পৌঁছালে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এছাড়া এ সময়টাতে মফঃস্বল এলাকা থেকে মালপত্র কিনতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করেও টাকাপয়সা কেড়ে নেয় এ চক্রের সদস্যরা। ’

রমজানে যারা টাকা পয়সা বা মূল্যবান বস্তু বহন করছেন তাদেরকে সাবধানে চলাফেরা করার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ছিনতাইয়ের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন বা বিপদ আঁচ করতে পারেন তাহলে দ্রুত ৯৯৯ নাম্বারে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।’

তাছাড়া ঈদে যারা বাড়ি ফিরছেন তাদেরকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি।

শেয়ার করুন: