যে বড় ভুল করেছে সৌদি আরব!

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করার তেমন কোনো প্রতিবাদ মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে করা হয় নি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা আমাদের মুসলমানদের অনেক বড় ব্যর্থতা।

বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে রেডিও তেহরানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন কুদস কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড.শাহ কাউসার মুস্তাফা আবুল উলায়ী।

তিনি বলেন, সৌদি আরবের নীরবতা অত্যন্ত দুঃখজনক। মুসলমানদের ব্যাপারে সৌদি আরবের অবস্থান কী তা দেশটির স্পষ্ট করা উচিত।

রেডিও তেহরানের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে এবং সেখানে তাদের দূতাবাস স্থানান্তর করে মুসলমানদের মূল জায়গায় আঘাত করেছে।

আর সেই প্রেক্ষাপটে আল কুদস ঘোষণা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। আমি বলব বর্তমান প্রেক্ষাপটে আল কুদসের গুরুত্ব একটুও কমেনি বরং আরো বেড়েছে।

তিনি বলেন, কিছু মুসলিম দেশ, নেতৃবৃন্দ এবং সংগঠনগুলোর সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। তবে এমনটি হতে পারে; তবে তারমধ্যে দিয়ে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। কিভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভক্তি পছন্দ করি না। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির সর্বাত্মক চেষ্টা ইসরাইল সবসময় চালিয়ে যাবে।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সৌদি আরবের চুপ থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে সৌদি বাদশা দাবি করেন তিনি খাদেমুল হারামাইন। ফলে তার তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মুসলমানদের ব্যাপারে।

তার মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে বিশেষ করে সম্প্রতি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করা, মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেয়া এবং এর প্রতিবাদ করায় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করার জোরালো এবং সুস্পষ্ট প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল সৌদি। সেটি সৌদি আরব করে নি। আমি এটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলব।

শেয়ার করুন: