রোজা

শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজার ফজিলত

আল বিদা মাহে রমজান। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ উঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল পরবর্তী মাস শাওয়াল। ‘শাওয়াল’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, উন্নত ভূমি, পূর্ণতা, ফলবতী, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয়ী হওয়া।

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো, অতঃপর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখলো, সে যেন (পূর্ণ) এক বছর রোজা রাখলো। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং- ১১৬৪)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। (সুরা আনআম)

হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রমজান মাসের রোজা পালন বাকি দশ মাস রোজা পালনের সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাস রোজা পালনের সমান।

অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা পালন শেষ করে (শাওয়াল মাসে) ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা পালন করার সমতুল্য হবে। (আহমদ : ৫/২৮০, দারেমি : ১৭৫৫)

শাওয়াল মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল। (মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪; আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, সহিহ-আলবানি)

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে সে (রমজানের পরে) অন্য দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৪)।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর যুগে ঋতুমতী হতাম। তখন আমাদের এই রোজা পরে কাজা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হতো; কিন্তু নামাজ কাজা আদায় করার কথা বলা হতো না। (অর্থাৎ ওই অবস্থায় নামাজ মাফ, কিন্তু রোজা মাফ নয়। তা পরে আদায় করে নিতে হবে)। (বুখারি ও মুসলিম; মিশকাত, হাদিস: ২০৩২)।

শেয়ার করুন: