অসংখ্য প্রাণ কেড়েছে এই রসালো লিচু! জেনে নিয়ে নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান

চমকি কি বিমারি’ নামে এক কুখ্যাত রোগে গত দু’বছরে বিহারের মুজফফরপুর এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য শিশুর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

লাল টুকটুকে রং, রসালো মিষ্টি স্বাদ। এমন লোভনীয় লিচুই যে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা কখনও ভেবেছিলেন কি?

এমনটাই ঘটেছে ভারতে। এক, দু’জন নয়, লিচু খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো শিশু। লিচুর জন্য বিখ্যাত বিহারের মুজফফরপুরেই এমন কাণ্ড ঘটেছে।

‘চমকি কি বিমারি’ নামে এক কুখ্যাত রোগে গত দু’বছরে বিহারের মুজফফরপুর এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য শিশুর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

১৯৯৫ সালে প্রথমবার এই রোগের কথা জানা যায়। তার পর থেকে প্রতি বছরই লিচু খেয়ে বিহারে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

২০১৪ সালে মুজফফরপুরের মেডিক্যাল কলেজে ‘চমকি কি বিমারি’-তে আক্রান্ত হয়ে ৩৫০টি শিশু ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১২২টি শিশুর মৃত্যু হয়।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শিশুদের মৃত্যু প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যৌথ তদন্ত শুরু করে।

সেই তদন্ত রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালি পেটে লিচু খাওয়ার পরে শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার কারণেই শিশুগুলির মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মৃত শিশুরা প্রত্যেকেই সকাল বেলা খালিপেটে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেয়েছিল। পেট ভার হয়ে থাকায় তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত আর কিছু খায়নি।

যার ফলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা শর্করার পরিমাণ কমে যায়। বিশেষত যে শিশুদের লিভার এবং মাংসপেশিতে গ্লাইকোজেন গ্লুকোজ ধরে রাখার ক্ষমতা কম, তারাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় শরীরে এনার্জি উৎপাদনকারী ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লুকোজের অক্সিডেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।

শেয়ার করুন: