যেভাবে গরুকে ধর্ষণ করে হত্যা করলো সুজল মিয়া

মানুষ আজ যেন পশুর থকেও অধম। বিকৃতকাম মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। যুবতী, কিশোরী বা শিশুকে ধর্ষণ তো অহরহ ঘটছেই। এবার মানুষের যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পেল না গরুও।

রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর গোয়াল থেকে গরু চুরি করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর থানার বাড়গ্রাম পূর্বপাড়ায়।

বৃহস্পতিবার বাড়গ্রামে নদীর ধারে একজন প্রাণী চিকিৎসকও ছয়জন প্রাণী স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে গরুটির ময়নাতদন্ত করা হয়। অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

জানা যায় বাড়গ্রামের ছায়া মণ্ডল নামে এক গৃহবধূর একটি সাদা রঙের দুইবছর বয়সের বকনা গরু ছিল। ছায়াদেবী গরুটির নাম দিয়েছিলেন চামেলি। তিনি ওই নাম ধরে ডাকলে যেখানেই থাকুক না কেন ছুটে ছায়াদেবীর কাছে চলে আসত চামেলি।

কিন্তু বুধবার সকালে চামেলিকে গোয়াল ঘরে দেখতে না পেয়ে তার নাম ধরে অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও কোনও খোঁজ পাননি।বাধ্য হয়ে তিনি যখন প্রতিবেশীদের কাছে চামেলির খোঁজ নিচ্ছিলেন,তখন কয়েকজন তাঁকে জানান বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে একটা সাদা গরু পড়ে রয়েছে।

তৎক্ষণাৎ ছায়াদেবী মাঠে গিয়ে দেখেন চামেলি আর বেঁচে নেই। তখনও তার নাক,মুখ থেকে রস গড়াচ্ছে। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন গরুটির যৌনাঙ্গ ও পায়ুতে খেজুর কাঁটার ডাঁটা ঢোকানো রয়েছে। এবং যৌনাঙ্গ ও পায়ু অস্বাভাবিকভাবে ফুলে আছে।

সেই অংশ দিয়ে পেটের নাড়িভুঁড়িও কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। এই ঘটনা দেখে এলাকাবাসী তাজ্জব হয়ে যান।সকলেরই সন্দেহ গিয়ে গিয়ে পড়ে বছর কুড়ির যুবক সুজল মাইতির উপর।

মাস ছয়েক আগে এক রাতে সুজল এই গরুটিকে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। এছাড়াও এর আগে বেশ কয়েকবার স্ত্রী গরুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তাই চামেলির এই পরিণতিতে গ্রামবাসীর সন্দেহ স্বাভাবিক কারণেই তার উপরে গিয়ে পড়ে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। গ্রামবাসীরা তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নিজের মুখে স্বীকার করলো, যেভাবে গরুকে ধর্ষণ করে হত্যা করলো সুজল মিয়া

শেয়ার করুন: