চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস : ১২ নম্বর ব্যক্তির উপস্থিতিতে কি ১১ জনের আত্মহত্যা?

বুরারি হত্যা মামলায় নয়া মোড়৷ পুলিশের অনুমান এই ১১ জনের আত্মহত্যার সময় কোনও ১২ নম্বর ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন৷ আর এই অনুমান থেকেই নতুন ব্যক্তির উপস্থিতির সন্দেহ বাড়ছে পুলিশের৷

দিল্লি পুলিশের ধারণা এই ১২ নম্বর ব্যক্তিই ভাটিয়া পরিবারের ১১জনকে আত্মহত্যায় সাহায্য করেছিল৷ ২০০৭ সালে লেখা বেশ কিছু কাগজ পেয়েছে পুলিশ৷ যাতে জানা যায়, যে ললিত ভাটিয়ার বাবার মৃত্যুর পর তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন৷ ১২ নম্বর ব্যক্তির উপস্থিতির কিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ৷

জানা গিয়েছে বাড়ির সামনের দরজা নাকি খোলা ছিল৷ অর্থাৎ কারোর প্রবেশ ঘটেছিল বা এক সাথে ১১জনের আত্মহত্যার পর অন্য কেউ বেরিয়ে গিয়েছেন বাড়িটি থেকে৷ এই সব সূত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ জিজ্ঞালাবাদ চলছে পরিবারের অন্যান্যদের৷ কথা বলে দেখা হচ্ছে পাড়ার লোকজনের সাথে৷

এর আগে, দিল্লির ‌বুরারি সহমরণ–রহস্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে৷ ক্রাইম ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ভাটিয়া পরিবার থেকে যে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে সেখানে এক জায়গায় লেখা রয়েছে, পরিবারের কর্ত্রী নারায়ণ দেবীর ৩৩ বছরের নাতনি প্রিয়াঙ্কার গত মাসেই বাগদান পর্ব হয়েছে এবং এ বছরের শেষেই বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল।

কিন্তু প্রিয়াঙ্কা মাঙ্গলিক ছিলেন বলে ওই ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের দাবি, প্রিয়াঙ্কা মাঙ্গলিক হওয়ার কারণে তাঁর জন্য যোগ্য পাত্র খোঁজা অসম্ভব হয়ে পরেছিল। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন গোটা পরিবার। সেই কারণেই নারায়ণ দেবীর ছোট ছেলে ললিত বাড়িতেই যজ্ঞের আয়োজন করেছিল।

ললিতের দাবি ছিল, সেই যজ্ঞে তাঁর মৃত বাবাও উপস্থিত ছিলেন। ডায়েরির মাধ্যমে এ সব কথাই জানতে পারে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তকারীরা জানান, প্রিয়াঙ্কার জন্য ছেলে অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় এবং তাঁদের বাগদানের তারিখ ঠিক হয় ১৭ জুন।

শেয়ার করুন: