জেনে নিন, যারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তি, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। আজ রোববার সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবারের ৪১তম আসর বসে। এ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের ট্রফি তুলে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার আজীবন সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন চলচ্চিত্রের গুণী অভিনয়শিল্পী ফারুক ও ববিতার হাতে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য ২৬টি বিভাগে ২৯জন ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ তালিকা :
আজীবন সম্মাননা : ববিতা ও ফারুক(যৌথভাবে)

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : অজ্ঞাতনামা

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ঘ্রাণ

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : জন্মসাথী

শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র : চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র : যৌথভাবে তিশা (অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার (শঙ্খচিল)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা : যৌথভাবে আলীরাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রী : তানিয়া আহমেদ (কৃষ্ণপক্ষ)

শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা : শহীদুজ্জামান সেলিম (অজ্ঞাতনামা)

শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী : আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি (শঙ্খচিল)

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)

শ্রেষ্ঠ গায়ক : ওয়াকিল আহমেদ (সিনেমা : দর্পণ বিসর্জন, গান : অমৃত মেঘের বারি)

শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মেহের আফরোজ শাওন (সিনেমা : কৃষ্ণপক্ষ, গান : যদি মন কাঁদে)

শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার (সিনেমা : মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান : বিধিরে ও বিধি)

শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা (গান : বিধিরে ও বিধি)

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : তৌকীর আহমেদ (অজ্ঞাতনামা)

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক : উত্তম গুহ (শঙ্খচিল)

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : যৌথভাবে সাত্তার (নিয়তি), ও ফারজানা সান (আয়নাবাজি)

শ্রেষ্ঠ মেকাআপম্যান : মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)

প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড।

পুরস্কার হিসেবে আঠারো ক্যারেটের স্বর্ণ দেয়া হলেও এবার ১৯ ক্যারেট করা হয়েছে। ১৯ ক্যারেটের পনেরো গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়।

আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

১৯৭৫ সাল থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ১৯৮১ সালে কোনো চলচ্চিত্র না পাওয়ায় সে বছর কোনো পুরস্কার প্রধান করা হয়নি। এছাড়া নিয়মিতভাবে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে।

শেয়ার করুন: