গোল্ডেন গ্লাভসের রেসে আছেন যে ৬ গোলরক্ষক

নিশ্চিত হয়ে গেছে ফাইনালের শেষ দুটি দল। তাদের মধ্যে থেকে কে বিশ্বকাপ জিতবে সেটা জানা যাবে ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, তেমনি কোন খেলোয়াড় গোল্ডেন বল কিংবা গোল্ডেন গ্লাভস জিতবেন সেটাও জানা যাবে ফাইনালের পরে। ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পুরষ্কারটি দেয়া হয় টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষককে তবে গোলরক্ষকদের জন্য শুধুমাত্র গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার সেটা নয়, তারা গোল্ডেন বলও জিততে পারেন।

২০১৮ বিশ্বকাপে রাশিয়া বিশ্বকাপে গোলপোস্টের নিচে বেশ কয়েকজন গোলরক্ষককে দেখেছে যারা দানবীয় কিছু সেভ করে দলকে রক্ষা করেছেন। তাদের মাঝে থেকেই সেরা গোলরক্ষককে বেছে নেয়া হবে। তবে চলুন জেনে আসি, ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে কোন কোন গোলরক্ষক এগিয়ে রয়েছেন।

থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম) একমাত্র জাপানের বিপক্ষে ম্যাচটি ব্যতীত অন্য ম্যাচগুলোতে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন থিবো কোর্তোয়া। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তার কীর্তি এখন সবার মুখে মুখে।

ব্রাজিলের বিপক্ষে থিবো কোর্তোয়া একটি নয় মোট নয়টি সেভ করেছেন। ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয়ার অন্যতম কারিগর এই থিবো কোর্তোয়া। ৫ ম্যাচের ২টিতে তিনি ক্লিনশীট বজায় রেখেছেন। থিবো কোর্তোয়ার এই কীর্তিগুলো তাকে রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখছে।

ড্যানিয়েল সুবাসিচ (ক্রোয়েশিয়া) কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে আবারও টাইব্রেকার, আবারও সুবাসিচের অনবদ্য পারফর্ম। তিনি রাশিয়ার প্রথম পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেছেন। সেই সাথে এক বিশ্বকাপে মোট ৪টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। মোট ৫ ম্যাচে ২টি ক্লিনশিট আছে তার।

এছাড়া তিনি ৯০ ভাগ শট সেভ করেছেন। এছাড়া তিনি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পাসও দিয়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার টাইব্রেকার কীর্তি। সামনের ম্যাচে তিনি আরও কি করবেন সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে এবারের বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ এর বড় দাবিদার সুবাসিচ

মুসলেরা (উরুগুয়ে) মুসলেরা বেশ কয়েক বছর ধরে উরুগুয়ের গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে আরো ভালোভাবে সামলেছেন। যদিও তার সব কৃতিত্ব শেষ ম্যাচে এসে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে।

কোয়ার্টার ফাইনালে তার ভুলের কারণে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার দল গোল দ্বিতীয় গোলটি হজম করেছে। তবে তার আগের চার ম্যাচের ৩ ম্যাচে তার ক্লিনশিট ছিলো এবং তিনি ৯১% শট সফলভাবে ঠেকিয়েছেন। তাই ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে তার নামও থাকবে।

অ্যালিসন (ব্রাজিল) অ্যালিসন ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি।তার উচ্চতার কারণে তাকে ফাঁকি দিয়ে সেট পিস থেকে গোল করা একেবারে কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত তার দল বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও তার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যক্তিগত পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের।

হুগো লরিস (ফ্রান্স) উরুগুয়ের মার্টিন কাসেরেসের হেডটি উড়ে গিয়ে সেভ করেছেন।তিনি যদি সেই গোলটি না ঠেকাতেন তবে ফল ভিন্ন হতে পারতো। হুগো লরিস এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। তার দল সেমিফাইনালে উঠে গেছে, তার সামনে সুযোগ রয়েছে দারুণ কিছু করার। সেটি করতে পারলে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ তার হাতে উঠতে পারে।

ক্যাসপার স্মাইকেল (ডেনমার্ক) চার ম্যাচের দুই ম্যাচে তিনি কোনো গোল হজম করেননি এবং তিনটি পেনাল্টি শট আটকে নায়ক হলেও দল জিততে না পারায় তার কৃতিত্ব ঢাকা পড়ে যায়।

গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের দৌড়ে তিনি হয়তো থাকবেন কিন্তু তার দল ডেনমার্ক দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ায় তার এই পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ।

শেয়ার করুন: