জাতির উদ্দেশে ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরার বার্তা

পাকিস্তানের আগামী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। আর ইমরান খান হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজ দলের সমর্থক ছাড়াও অনেকেই ইমরান খানকে আগাম অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন।

পিটিআইর এই জয়ে পাকিস্তানিদের উদ্দেশে এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইমরান খানের স্ত্রী পিংকি পীর খ্যাত বুশরা ইমরান।

বুশরা ইমরান জাতির উদ্দেশে এক বার্তায় বলেন, ‘আল্লাহ এই জাতিকে এমন এক নেতা দিয়েছেন, যিনি এদের দেখাশোনা করবেন।’

বিশেষ করে নিপীড়িত, বঞ্চিত নারী, বিধবা ও এতিমদের উদ্দেশে বুশরা বলেন, ‘নতুন নির্বাচিত নেতা তাদের রক্ষা করবেন।’

এর আগে ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথও পিটিআইর সম্ভাব্য জয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ইমরান খান, তার দল ও পাকিস্তানের নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া আরেক স্ত্রী রেহাম খানও ইমরান খানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ইমরানকে নয় বরং ভোট দিয়েছেন বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপিপিকে।

এদিকে, গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের দাবি করেন পিটিআই দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন আজ সকালে জানায়, ইমরানের দল ১১০টি আসন পেয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৬৩টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৪২টি আসন।

গতকাল ইমরান খান বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমত, আমরা জয় পেয়েছি। ২২ বছর আগে আমি যে ইশতেহার তুলে ধরেছিলাম, আল্লাহ আমাদের তা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই,

কেন আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলাম, রাজনীতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কিছু দিতে পারবে না। কিন্তু আমি চাই, আমার নেতা কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ যে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন, পাকিস্তান তা হয়ে উঠুক।’

অনিয়মের দাবি নাকচ করে সাবেক এই ক্রিকেট তারকা পাকিস্তানের এই জাতীয় নির্বাচনকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে নিরপেক্ষ’ বলেও দাবি করেন। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি আপনি মনে করেন যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, তাহলে আমরা তদন্তের কথা বলব।

এ ব্যাপারে আমরা আপনার পাশে আছি। আমি মনে করি, পাকিস্তানের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন। যদি কোনো দলের এতে সন্দেহ থাকে, তাহলে যেসব আসনের ব্যাপারে অভিযোগ থাকবে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত হতে পারে।’

পিটিআইপ্রধান বলেন, ‘ধনীদের দিয়ে একটি দেশের জীবনযাত্রার মান স্বীকৃত হতে পারে না। গরিবরা কীভাবে জীবনযাপন করে, সেটাই বিবেচ্য। ধনীদের দ্বীপ আর গরিব মানুষের সমুদ্র নিয়ে কোনো রাষ্ট্র কখনো উন্নতি করতে পারে না।’

আগামী দিনগুলোর চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান আরো বলেন, ‘সামনে আমাদের সুশাসন ও অর্থনৈতিক বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের অর্থনীতি এত খারাপ অবস্থায় আর কখনই আসেনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, এই দায়িত্ব যাদের ওপর ছিল তারা তাদের কাজটি সঠিকভাবে করেনি।’

শেয়ার করুন: