যে কারনে শ্রাবন্তীর বিবাহ বিচ্ছেদ স্থগিত!

এক সময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তী। এ তারকা অভিনয় ছেড়েছেন প্রায় এক দশক আগে। মনোযোগ দিয়েছেন ঘর সংসারে।

কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রাবন্তীর ঘর ভাঙার আলোচনা ছিল তুঙ্গে। এরমধ্যে শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী খোরশেদ আলম।

৩০ জুন শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে শ্রাবন্তী জানান, তিনি সংসার জীবনে বিচ্ছেদ চান না। সুন্দর-স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চান।

শ্রাবন্তীর সেই চাওয়া অনেকটাই পূরণ হতে চলেছে। আশার আলো যেন উঁকি দিয়েছে শ্রাবন্তীর দিকে। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ স্থগিত করেছে আদালত।

৩১ জুলাই সন্ধ্যায় নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘বিজ্ঞ দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত ঢাকা,

ইশরাত জাহান আজ দুই পক্ষের উপস্থিতিতে দীর্ঘ সুনানি সাপেক্ষে বিবাদী খোরশেদ আলম-এর ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তীকে দেওয়া তালাকের নোটিশের কার্যক্রম পারিবারিক মোকাদ্দমা ৬৬৯/১৮ নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত স্থগিত করেছেন।

অজস্র কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার প্রতি। পুরো প্রক্রিয়াটি করেছেন শ্রাবন্তীর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম ফিরোজ এবং ফিরোজা পারভীন লাকী ও মলয় সাহা।

দেশের আইন সত্যের পথে আছে। এই প্রথম জজকোর্টে নিজে থেকে নিজের চোখে দেখলাম। রাবিয়া ও আরিশা (শ্রাবন্তীর দুই মেয়ে) মা-বাবাকে একসাথে নিয়ে হাসি খুশি থাকো,আনন্দে থাকো। এই প্রার্থনা।

আলম ভাই ও শ্রাবন্তী তোমাদের আবার একসাথে দেখার আশায় এই কামনা করি বিধাতার কাছে।’

২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শ্রাবন্তী। তার বড় মেয়ে রাবিয়াহ বয়স ৭ আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে ৩ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই দুই মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বসবাস করছিলেন তিনি। গত ২৫ জুন দেশে ফিরেছেন শ্রাবন্তী। এরপর থেকেই গণমাধ্যমে তাদের সংসার জীবনের টানাপোড়নের খবর প্রাকাশ পায়।

শেয়ার করুন: