২১০টি গরু দিয়ে কাঙালি ভোজ দিচ্ছেন এমপি একরামুল!

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিন জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় সারাদেশে।

সে দিনটি হচ্ছে অাগামীকাল ১৫ অাগস্ট। এদিনটিতে অনেক ব্যাক্তি বর্গ দোয়ার অায়োজন করেন। আবার অনেকে কাঙালি ভোজের ব্যাবস্থা করেন ।

এমনি কাঙালি ভোজের জন্য ২১০টি গরু দিচ্ছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। জাান যায়, এসব গরুর মাংস দিয়ে একরামুলের নির্বাচনী এলাকায় পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী-৫ আসনে খাবার তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিলানো হবে।

এর মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভায় ২৯ টি স্থানে ৪৮ টি, পৌরসভার বাইরে সদর উপজেলায় ৫১ স্থানে ৫৫টি, সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৭টি স্থানে ৩৭ টি, কবিরহাট উপজেলায় ২৭টি স্থানে ২৭টি, এবং কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ২৫ টি স্থানে ২৫ টি গরু জবাই হবে। বাকিগুলো জবাই হবে অন্যান্য এলাকায়।

সংসদ সদস্য একরামুল বলেন. ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কারণে এমপি হয়েছি। এই দেশ বিহারিরা শাসন করত, রাজাকার ও পাকিস্তানিরা শাসন করত। আমরা যারা বাঙালি ছিলাম, তারা ছিলাম বঞ্চিত।

আমরা যে যেখানে আছি পদ-পদবি পেয়েছি এই বঙ্গবন্ধুর জন্য। আমি মনে করি আমার নিজের পিতার প্রতি যে কর্তব্য, সেই রকম কর্তব্য পালন করা দরকার জাতির পিতার প্রতিও।’

‘আর এই কর্তব্য পালনের জন্যই এই গরু জবাই করছি। মানুষ তার জন্য (বঙ্গবন্ধু) দোয়া করবে, এর বাইরে আমার আর কিছু চাওয়া নেই।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে নিজ বাড়িতে বিপথগামী সেনা সদস্যদের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাণ পুরুষ বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়।

মাঝে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দিবসটি বাতিল করলেও পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার সেটি বহাল করে।এই দিনটিতে নানা আয়োজনে জাতির জনককে স্বরণ করা হয়। বিতরণ করা হয় খাবার। ২০১৭ সাল থেকেই ব্যাপকভাবে এই ভোজের আয়োজন করা হচ্ছে।

আর আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও এই আয়োজনে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।গত বছর শোক দিবসে কাঙালি ভোজের জন্য ১২৯ টি গরু দিয়েছিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।

এ দিকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তাদের বিভিন্ন উপসনালয়ে এবং খ্রিষ্টান

ধর্মাবলম্বীদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্যের আত্বীয়রা। তবে সাধারন মানুষ অনেক খুশি এমপি একরামুলের ওপর এত বড় খাবারের আয়োজন করায়।

শেয়ার করুন: