প্রশ্ন : বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে বা জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, কমিয়ে না দিলে পরবর্তী জীবনে কিছু সমস্যা হয়। যেমন অষ্টম শ্রেণি পাস করতে হলে ১৭ বছরের ভেতরেই করতে হয়। সেজন্য বয়স কমিয়ে দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করা জায়েজ হবে কি না?
উত্তর : আপনি যে চিত্রটি তুলে ধরেছেন, এটি আমাদের দেশের একটি ভয়াবহ চিত্র। মানুষ এখন সততার বাইরে চলে গেছে। আল্লাহুতায়ালা কোরআনে কারিমে সত্যবাদিতার ওপর থাকতে বলেছেন। অনেকেই চিন্তা করে যে রিজিকের মালিক রাজ্জাক(রিজিকদাতা) নন, বরং চাকরিই তাদের রিজিক দেবে।
এজন্য অনেক সময় তারা এটা করে থাকেন। এটা বড় অন্যায়। সারাটা জীবন একটা ছেলে বা মেয়ে একটা মিথ্যা বয়ে বেড়াবে। সে যেকোনো জায়গায় একটি মিথ্যা জন্ম তারিখ লিখবে।
এটা খুব খারাজ কাজ। এজন্য যারা এটা করছে, তারা অন্যায় করছে, আর যাদের ব্যাপারে করছে, তাদের একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।
তবে যদি প্রকৃত জন্ম তারিখ না জানা যায়, সেটা ভিন্ন কথা। অর্থাৎ এ কাজের সাথে নিয়ত যুক্ত। যদি কেউ ইচ্ছে করে এ ধরনের ভুল জন্ম তারিখ দিয়ে থাকে,
তাহলে গুনাহ হবে।যদি কেউ ভুল জন্ম তারিখ দিয়ে চাকরি নিয়ে থাকে, তাহলে সঠিক বয়স হিসেবে যে তারিখ পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ, সে পর্যন্ত চাকরি করবে।
এর বাইরে চাকরি করবে না। করলে এই্ কাজটি মিথ্যাচারের মধ্যে পড়বে, কারণ তিনি রাষ্ট্রের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তাই উচিত হবে সত্যিকার বয়সটা দেওয়া। ইনশা আল্লাহ আল্লাহই আমাদের চালাবেন।
এমনটা হতেই পারে চাকরির ওই বয়স পর্যন্ত তিনি হায়াত পাবেন না, আবার এমনটাও হতে পারে যে বৃদ্ধ বয়সে তিনি এর চেয়েও ভালো চাকরি পাবেন। এজন্য আমাদের সবার উচিত হবে আল্লাহকে ভয় করা এবং জন্ম নিবন্ধন বা সার্টিফিকেটে বয়স না কমানো।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৪ আগস্ট ২০১৮, ৪:১৪ অপরাহ্ণ ৪:১৪ অপরাহ্ণ
চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক…
জুলাই বিপ্লবে সকল শহীদে স্বপ্ন পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.…
রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে নতুন পররাষ্ট্রসচিব করা হয়েছে। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের স্থলাভিষিক্ত…