নির্বাচন

জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করল ইসি

ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের কোন কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের কোন সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সার্ক দেশ সমূহের প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে প্রতিবছর। সার্কভুক্ত আটটি দেশের প্রধান কমিশনারদের নিয়ে ফেম্বোসা সম্মেলন হয়ে থাকে।

আগামী ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এটি। হোটেল রেডিসনে স্পিকার শিরিন শারমিন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আটটি দেশের নির্বাচন নিয়ে ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। এবং তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন।

কোন দেশে কিভাবে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পদ্ধতিগুলো কি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে কিভাবে নির্বাচন করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

তফসিল ঘোষণার আগে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজক দেশ হিসেবে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু সার্কভুক্ত দেশগুলো এখানে অংশ নেবে ফলে আমরা তাতের অভিজ্ঞতা গুলো গ্রহণ করতে পারি।

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: আমরা ধরে রেখেছি ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি হিসেবে যা যা করা দরকার তার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাদা একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সেখানে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, সামনে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো সেগুলোর চেকলিষ্ট তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছে।

চেকলিষ্টে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে কিনা, ভোটকেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কিনা। আরও ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্তি প্রয়োজন আছে কিনা, ভোটার সংখ্যা বেড়ে গেছে, ব্যালট পেপারের বন্য কাগজ কেনা হয়েছে কিনা, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ হয়েছে কিনা। নির্বাচনের জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা।

যারা পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, তাদের প্রশিক্ষণের বিষয় আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি কতটুকু। নির্বাচনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবার অবহিতকরণ, সকল বিষয়গুলো আলোচনা হবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা শতকরা ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরপর কমিশন যে নির্দেশনা দেবে তা বাস্তবায়ন করব।

তাজুল ইসলামের আসনে নির্বাচন হবে না। আমরা আইন কানুনগুলো দেখেছি এবং পর্যবেক্ষণ করেছি। কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মৃত্যুবরণ করেছে, এর মধ্যে আর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

আগামী নির্বাচন: সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই হিসেবে ৩০ তারিখ থেকে আমাদের কাউন্টডাউন শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সকল প্রস্তুতি আছে। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন হবে।

ভোটার তালিকা শেষ হয়েছে। আর এর মধ্যে আমাদের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র আছে, আরও পাঁচ হাজার বাড়তে পারে। এগুলোর খসড়া তালিকা জেলা উপজেলায় প্রকাশ করা হয়েছে।

যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের যদি কোন আপত্তি থাকে সে বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে, সেগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে তারা নিষ্পত্তি করে আমাদের কাছে গেজেট নোটিশ পাঠাবে।

নির্বাচন সামগ্রী ক্রয়ের যে বিষয়টি রয়েছে ইতোমধ্যে যারা টেন্ডার আহ্বান করেছে তাদের আমরা কার্যাদেশ প্রদান করেছি। তারা সহসাই আমাদের মালামালগুলো সরবরাহ করবে।

শেয়ার করুন: