সুগারবিট

গুড় চিনির চাহিদা মেটাতে সুগারবিট চাষ

আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে দেশে গুড় ও চিনির চাহিদা মেটাতে সুগারবিট চাষের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন নামের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক সংগঠন। সিরাজগঞ্জ জেলার চরাঞ্চলের ৪২ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্য নিয়ে এ বছর পাঁচ হাজার হেক্টরে সুগারবিট উৎপাদন করছে ওই সংগঠনটির সদস্য প্রতিষ্ঠান ‘শামস এন্টারপ্রাইজ’।

এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মু. আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন গুড় বা চিনি দরকার। এর মধ্যে উৎপাদন করি মাত্র তিন লাখ মেট্রিক টন। বাকি ১৭ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়। অথচ সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশের চরাঞ্চলে, লোনাঞ্চলে, খরাঞ্চলের পতিত জমিতে সুগারবিট চাষ করে আমরা ৫০ লাখ টন গুড় বা চিনি এবং ৫০ লাখ টন পশুখাদ্য উৎপাদন করতে পারি।

তাই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের জমিতে এবছরই শুরু হচ্ছে সুগারবিট চাষ। সুগারবিট উৎপাদনের কলাকৌশল এবং নিয়ম নীতি জানা বা শেখার জন্য শাহজাদপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার মনজু আলম সরকারকে বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিতে নিতে আগ্রহী। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্তে শামস এন্টারপ্রাইজের অফার লেটার এবং কেডব্লিউএস জার্মানির ইনভাইটেশন লেটারসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে আবেদন জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আখের চেয়ে সুগারবিট চাষ করা অনেক বেশি লাভজনক। আখ ১৪ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি আখ থেকে চিনি হয় মাত্র ছয় কেজি এবং আখের ছোবড়াকে শুধু জ্বালানী হিসেবেই ব্যবহার করা যায়। অপরদিকে সুগারবিট পাঁচ থেকে ছয় মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি সুগারবিট থেকে প্রায় ১৪কেজি চিনি পাওয়া যায়। সুগারবিট থেকে গুড় বা চিনি উৎপাদনের পর পাল্প পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা সবুজ শাক, সবুজ সার এবং পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন(বিওপিএমএ) বাকহুইট, কাউন, যব, মিষ্টি আলু, সয়াবীন, কাজুবাদাম, বাদাম ও সব্জিসহ অতি প্রয়োজনীয় দামী এবং পুষ্টিকর ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

শেয়ার করুন: