পাসপোর্ট

পাসপোর্ট করার নতুন নিয়ম: ২০১৮ সাল আপডেট

নিজের পাসপোর্ট (Passport) থাকা জরুরী। ব্যবসা, চাকরি, ভ্রমণ, লেখাপড়া যে কারণেই হোক না কেন প্রতিদিনের অনেক প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ব্যবহার হয় এ পাসপোর্ট। কীভাবে অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করবেন কোন ঝমেলা ছাড়া সেই ধাপ গুলা আজকে আলোচনা করবো। বর্তমানে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম জমা দিলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না । পরে নিধারিত সময়ে পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি গিয়ে ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারিং করা যায়।

প্রথম ধাপ: ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া। পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে প্রথম যে ধাপ তা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত ফি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া। এটি আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ অনলাইনে আবেদন ফর্মে ঐ ব্যাংকের রিসিট নম্বর এবং জমার তারিখ সংযুক্ত করতে হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকের শাঁখাতে আপনি পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি আরও ৫টি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন।

১) ওয়ান ব্যাংক ২) ট্রাস্ট ব্যাংক ৩) ব্যাংক এশিয়া ৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক ৫) ঢাকা ব্যাংক। রেগুলার ফি ৩০০০/- টাকা [৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা] ( ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট ( Bangladeshi Passport) পেতে হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৬০০০/- টাকা [ ৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা] ( ১0 দিনের মধ্যে পাসপোর্ট (Passport) পেতে হলে) ।

সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে চিকিৎসা, হজ্জ্ব পালন, তীর্থস্থান ভ্রমণের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা। সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ) বিনামূল্যে। রি-ইস্যু জরুরি ফিস (৭ দিন) (NOC/GO ব্যতীত) ৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা। সাধারণ ফিস (২১ দিন) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফিস (মেয়াদ পরবর্তি প্রতি বছরের জন্য) সাধারণ ফিস ৩০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫.০০ টাকা

Note: প্রথমেই টাকা জমা দেয়া প্রয়োজন এই কারণে যে , অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নাম্বারউল্লেখ করার প্রয়োজন হবে। তাই টাকা আগে জমা দেয়া থাকলে একবারেই ফর্ম পূরণ করা হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় ধাপ: অনলাইনে ফর্ম পূরণ

পাসপোর্ট করতে হলে আপনাকে আগে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে হবে। তাই আপনাকে bangladesh machine readable passport online application এই সাইটে যেতে হবে। http://www.passport.gov.bd/Reports/MRP_Application_Form[Hard%20Copy].pdf

পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম প্রতিটি ঘরে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার নামের বানান, পিতা-মাতার নামের বানান সব কিছু আপনার শিক্ষা সনদের সাথে মিল রেখে দিবেন । স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানার ঘর যত্ন সহকারে পূরণ করুণ।

আপনার ইমেইল আইডি এবং ফোন নাম্বারের ঘরে ঠিক ভাবে তথ্য দিন। সবশেষে আপনি যেদিন ছবি তোলা ও হাতের ছাপ দেয়ার জন্য বায়োমেট্রিক টেস্ট দিতে যেতে চান, সুবিধামত সেইদিনটা নির্বাচন করে সাবমিটকরুন।

Note: অনলাইনে একাউন্ট খোলার পরপরই আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেবে । সেটা সংরক্ষণ করুন।

এমআরপি(MRP) আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী আবেদনের সঙ্গে যে সমস্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে-

– চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত সনদ/ ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিদ্যুৎ, গ্যাস/ পানির বিল/ বাড়ির দলিলের ফটোকপি ইত্যাদি।

– বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

– ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
পাসপোর্ট করার সময় লক্ষ্যণীয়

এক নিমিষে লেবু দিয়ে যেভাবে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করবেন…

সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর কোন তুলনাই হয়না। শরীরের কালো দাগ দূর থেকে থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো কিংবা বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করা, সব কিছুই সম্ভব।

তাই বিস্তারিত জানতে দেখে নিন বিডি রমণীর আজকের আয়োজন লেবু দিয়ে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করুণ কৌশল। তাহলে আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন?

লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।

লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ বা অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত কমে।

হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু কার্যকর। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুড়ো মিশিয়ে হাত পায়ে লাগান।

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।

ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সঙ্গে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।

একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলা লেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরো ফর্সা করবে।

শেয়ার করুন: