দুর্ঘটনার দিন ঢাকাতেই ছিলাম না: এমপি পুত্র

দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হলেও ওই দিন ঢাকাতেই ছিলাম না। আমাকে এবং আমার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহল উদ্দেশ্যমূলক ফাঁসাতে চাচ্ছে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠতে গিয়ে সেলিম ভূঁইয়া নামে এক পথচারী নিহতের ঘটনায় এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর জড়িত থাকার সংবাদ আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

সড়ক দুর্ঘটনার সময় গাড়ীতে ছিলেন না জানিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন সাবাব।

সাবাব বলেন, ‘১০ জুন থেকে আমি নোয়াখালীতে। ঘটনার দিন ১৯ জুন রাত ৯টা পর্যন্ত আমি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আমার নামে উদ্বোধন করা একটি ঘাট পরিদর্শনে ছিলাম। সেখানে হাজার হাজার মানুষ ছিল।

তারা আমাকে দেখেছে। হাজার হাজার মানুষ সাক্ষী আছে আমি তখন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছিলাম। এখানে লুকোচুরির কিছুই নাই। আমি বাবার একমাত্র ছেলে। আমি রাজনীতিতে সময় দিচ্ছি। তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংস করার জন্য এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

সাবাব বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলেও কেউই আমার সাথে যোগাযোগ করেনি, আমার বক্তব্য ছাড়াই সংবাদ পরিবেশন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যে প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি আমাকে চেনেন এবং আমাকে প্রায়ই গুলশান বনানীতে গাড়িসহ আড্ডা দিতে দেখেছেন, তা অবিশ্বাস্য।’

পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, ‘সাবাবকে প্রায়ই গুলশান বনানীতে গাড়িসহ আড্ডা দিতে দেখা যায়।’ এ বিষয়ে এমপি পুত্র বলেন, ‘আমি গত তিন বছর নিউজিল্যান্ডে ছিলাম।

বছরে এক দুই বার সপ্তাহখানেকের জন্য দেশে আসি। এবার ৭ জুন দেশে এসেছি, ১০ জুন থেকে আমি নোয়াখালীতে। তাহলে তিনি কিভাবে আমাকে গুলশান বনানীতে গাড়িসহ আড্ডা দিতে দেখেন?

ঘটনার দিন ১৯ জুন রাত ৯ টা পর্যন্ত আমি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আমার নামে উদ্বোধন করা একটি ঘাট পরিদর্শনে ছিলাম। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথাগুলো ছড়ানো হচ্ছে।’ এ বিষয়ে একটি ভিডিও চিত্র এবং কিছু স্থির চিত্রের প্রমাণও উপস্থাপন করেন সাবাব।

আমি সবকিছু সত্য বলছি। আমার ক্যারিয়ার এবং পার্সোনালিটি আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে, তারা সব সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করুক যোগ করেন সাবাব।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার পরিবারে গাড়ি দিয়েই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় আমি নিহত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সব দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা আমার আছে।’

বিআরটিএ থেকে জানা যায়, গাড়িটি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শিউলির নামে রেজিস্ট্রেশন করা। কামরুন্নাহার শিউলি কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ঘটনার পর থেকে গাড়ি চালক নুরুল আলম পালাতক রয়েছেন।

শেয়ার করুন: