বিদায় মেসি! এই দেখাই শেষ দেখা নয়, আবার দেখা হবে নিশ্চয়

কেবল বর্তমানেই নয় নি:সন্দেহে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারটির নাম লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে এমন কোনা শিরোপা নেই যা মেসির শোকেশে নেই। তবে জাতীয় দলে এসে কেমন জানি খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে মেসির কাঁধে চেপে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছিল আর্জেন্টিনা। সেবার পারেননি তিনি। ২০১৪ সালে প্রায় একাই দলকে বিশ্বকাপে ফাইনালে তুলে দেন। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। এবারও পারলেন না মেসি। নক আউট পর্বে ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হলো বর্তমান সময়ের সেরা এই ফুটবলারের।

মেসির কারণেই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা। মেসি নিষেধাজ্ঞার কারণে বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই কারণে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সও ছিল একবারে বাজে।

বিশ্বকাপে উঠতে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে আর্জেন্টিনাকে, এমন ম্যাচে অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে দলকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে নিয়ে আসেন তিনি।

বিশ্বকাপে এসে আবার খেই হারিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে নিস্প্রান ড্রয়ের পর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরেই যায় মেসির দল। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোনোমতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আর পেরে ওঠেনি মেসির দল। ফান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নিল আর্জেন্টিনা। আর এই হারে আবার মাথা নিচু করে ফিরতে হলো ফুটবলের এই কিংবদন্তিকে।

ইতিমধ্যে ৩১ বছরে পা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। খুব সম্ভবত এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে মেসি বলেই আগ বাড়িয়ে কিছু বলা অসম্ভব। ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর অভিমানে অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

অভিমান ভুলে পরের বছর আবা ফুটবলে ফেরেন তিনি। আর্জেন্টিনার সমর্থকরা চাইবেন মেসি যেন পরের বিশ্বকাপেও খেলেন। তবে আপাতত এই আসর থেকে বিদায় নিলেন মেসি। বিশ্বের শত কোটি সমর্থক মিস করবেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই অ্যাম্বাসেডরকে। বিদায় মেসি! এই দেখাই শেষ দেখা নয়, আবার দেখা হবে নিশ্চয়।

শেয়ার করুন: