দ্বিগুণ বয়সি মেয়েকে বিয়ে করার পরিণতি!

মাসহ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রায় দ্বিগুণ বয়সি মেয়েকে বিয়ে করার পরিণতি এমন হবে ভাবেনি তানভীর। প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতনের শিকার হতে হতো এই তরুণকে। যার শেষ গিয়ে ঠেকে কান কাটার মধ্য দিয়ে।

ঘটনাটি ভারতের কলকাতার নারকেলডাঙা নর্থ রোডের। জানা যায়, বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দুই কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিগুণ বয়সী স্ত্রী মুমতাজ বিবি নামের এক তরুণীর বিরুদ্ধে। মুমতাজের সঙ্গে তার বোনেরাও এ কাজে সাহায্য করেছেন।

সর্বভারতীয় এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তানভিরকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে নারকেলডাঙা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

১৮ জুলাই, মঙ্গলবার ওই অভিযোগে তানভির উল্লেখ করেন, বিয়ের পর থেকেই মুমতাজ বিবি অত্যাচার করে আসছেন। অত্যাচারের ভয়ে তানভির পালালেও মুমতাজ লোক লাগিয়ে তাকে ধরে আনতেন। সোমবার রাতেও তানভিরকে ধরে এনে মারধর করেন মুমতাজ ও তার বোনেরা। পরে বন্দুক ঠেকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তানভীরের দুই কান কেটে নেওয়া হয়।

তানভীরের বাড়ি কলকাতার নারকেলডাঙা নর্থ রোডের কসাই বস্তির সেকেন্ড লেনে।

তিনি বলেন, স্ত্রী ও শ্যালিকারা ভেবেছিলেন, আমি মরে গেছি। তাই ওইভাবে ফেলে রেখেছিল। তার পর সুযোগ পেয়ে কোনোরকমে বাইরে বেরিয়ে আসি। এলাকার লোকজন আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, সুযোগ পেলেই আমাকে অত্যাচার করত স্ত্রী মুমতাজ। এই অত্যাচারের কারণে আমার মা মুমতাজকে বলেছিলেন আমাকে ছেড়ে দিতে। এতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়ে আমাদের একটি বাড়ি বিক্রি করে টাকাও নিয়ে নেন মুমতাজ। কিন্তু আমাকে ছাড়েননি। উল্টো আমার বাড়িতে যেতে বা পরিবারের কারো সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না।’

তানভীর আরও জানিয়েছেন, বড় ভাইয়ের এক বন্ধুর ফাঁদে পড়ে মমতাজকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।

তারা অভিযোগ করেছেন,এই ঘটনায় প্রথমে কোন মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। পরে অভিযোগ নিলেও এখনও পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা। পুলিশ জানায়, মুমতাজ বিবি ও তার বোনদের ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন: