সিটি করপোরেশন নির্বাচন

সিলেটে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত

কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে বের দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্র দুটি হচ্ছে-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজী বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পৌনে ২টার দিকে সিলেট সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার এমদাদ হোসেন বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মহানগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটিতে জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ঘণ্টা-দুয়েক কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট শুরু হয়। এরপর ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ তার সমর্থিতরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাও সেখানে ঘটে।

এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেখানে আবারো ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে একই সময়ে নগরের ১৮ নম্বর কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

পরে সকাল ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন প্রিজাইডিং অফিসার। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকেই ভোট চলছিল শান্তিপূর্ণভাবে, কিন্তু ১১টার দিকে হঠাৎ করে সেখানে একদল দুবৃর্ত্ত জাল ভোট দেওয়া ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে খাজদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

শেয়ার করুন: