যেসব জিনিস নিয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে না

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ও ঢাকা মহানগরকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্টকে ঘিরে আমরা ব্যাপক সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ধানমন্ডি ৩২ নং ও তার আশপাশ এলাকায় থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। দুইটি কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।

প্রতিটি প্রবেশ গেটে থাকবে আর্চওয়ে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং বনানী কবরস্থানে ভিভিআইপি, ভিআইপি ও বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাব্য স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পোশাকে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। পুলিশের ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং ঢাকার বনানীস্থ কবরস্থান সুইপিং করা হবে। আরও থাকবে ফায়ার টেন্ডার, এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা।

নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন প্রকার ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, ছুরি, চাকু, দাহ্য পদার্থ, গ্যাসলাইট, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না।

রাস্তায় বিভিন্নস্থানে পুলিশি তল্লাশীর মাধ্যমে আপনাকে ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থানে আসতে হবে। দ্রুততম সময়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে অন্যকে সুযোগ দিবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে সেলফি তোলা থেকে সকলকে অনুরোধ করেন। জাতীয় শোক দিবসের ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রাখার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।

শেয়ার করুন: