টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যৌতুক না পেয়ে শাপলা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
ওই গৃহবধু উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের নরদহী চরপাড়া গ্রামের রাব্বি ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার নরদহী গ্রামের রাব্বী ইসলামের বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাত্র আনুমানিক ১ টার দিকে চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা।
তারা ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখেন আগুনে শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে শাপলার। এসময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। শ্বশুর-শ্বাশুড়িও ছিলো অন্য ঘরে।
পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার কথা বলেন।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে বুধবার রাতে চিকিংসাধীন অবস্থায় বার্ণ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী আরো জানান, আমরা যখন ঘরে ঢুকি তখন দেখি শুধু তার শরীরে আগুন, কিন্তু তার একটু পাশেই খাঁট ও পাশের আলনা ভর্তি কাপড় রয়েছে। সেখানে কোন আগুন লাগেনি।
যদি অন্য কিছুতে আগুন লাগতো তাহলে অবশ্যই খাঁট ও আলনাতে রাখা কাপড়ে আগুন লাগতো। শাপলাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম জানান, আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো। সে আমাকে এবং আমার ছেলের ফোনে ফোন দিয়ে সব বলতো।
ঘটনার আগের দিন এনিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। যৌতুক না পেয়েই আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে মৃত্যুর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।