বর্ষায় পোকামাকড়

পোকামাকড় কামড়ালে বা হুল ফোটালে তাৎক্ষনিক যা করবেন…

পোকামাকড় ও মাকড়সা কামড় দিলে ক্ষত স্থানটি ফুলে লাল হয়ে যায়, ব্যথা ও চুলকানি হয়। এইসব হালকা প্রতিক্রিয়াগুলো খুবই সাধারণ এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন স্থায়ী হয়। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পোকার কামড় বা হুল ফোটানোর ফলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বড়দের চেয়ে ছোটদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যায়।

কামড় অনুভব করার সাথে সাথে আপনি যা করতে পারেন: কামড় অনুভব করার সাথেই সাথেই উক্ত পোকা/মৌমাছি/মাকড়সাটিকে সরিয়ে দিন। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত এটি আপনাকে কামড়াবে ততক্ষণই বিষ শরীরে প্রবেশ করতে থাকবে। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। খুব বেশি নড়াচড়া করবেন না। কারণ নড়াচড়া বেশি করলে বিষ রক্তের মধ্য দিয়ে দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।

যদি মৌমাছি আপনাকে হুল ফোটায়, তাহলে মৌমাছি সরিয়ে দেয়ার পরও হুল ভেঙ্গে চামড়ায় রয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ভাঙ্গা হুলটি চামড়া থেকে সরিয়ে ফেলুন।

যদি আপনি পায়ে অথবা হাতে কামড় খেয়ে থাকেন তাহলে বাহু যত সম্ভব নিচু করে রাখুন। এতে বিষ সহজে ছড়াবে না। কয়েক ঘণ্টা পর যদি হাত ফুলতে শুরু করে, তাহলে হাত উচু করে ফোলা কমাতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে করণীয়: হুল ও লেগে থাকা বিষগুলো খুব ধীরে অপসারণ করতে হবে। আপনার আঙুলের নখ কিংবা ছুরি দিয়ে হুল চেঁছে ফেলবেন। বিষের হুলে চাপ দেবেন না। কারণ, চাপ লাগলে বিষ রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হুল ফোঁটা জায়গাটি সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

এতে বিষ অপসারিত হতে সাহায্য হবে। পোকার কামড়ে সামান্য ফোলা, চুলকানি, মৃদু ব্যথা হলে স্থানটিতে বরফ প্রয়োগ করুন। মৃদু ব্যথার জন্য ডিসড্রিন খাওয়া যেতে পারে এবং চুলকানি উপশমের জন্য ক্যালামিন লোশন ব্যবহার করবেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

যা করা উচিত না: কামড়ানো স্থানটি চুলকাবেন না। এতে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভিনেগার ও সোডা ব্যবহার করবেন না। কোনো ধরনের তেল মালিশ করবেন না।

শেয়ার করুন: