গুগল আর্থ-এ পৃথিবীর রহস্যময় পাঁচটি স্থান, চোখের ভুল নাকি সত্যি !

গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন গুগল আর্থ থেকে পৃথিবীর যে ছবি পাওয়া যায়, তা পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রাম্যমান বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা লো রেজলিউশন ফোটোগ্রাফ। ভূপৃষ্ঠের কাছ থেকে তোলা বেশ কিছু হাই রেজলিউশন ফোটেগ্রাফ ব্যবহার করে, যেগুলো বিমান, ড্রোন এমনকী বেলুন থেকে তোলা।

যিনি গুগুল আর্থ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করছেন, তিনিই এই সব ছবি দেখতে পারেন। এতে কোনও বাধাবন্ধ নেই। কিন্তু এমন খোলামেলা ও সর্বজনভোগ্য একটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে এমন কিছু রহস্যময় বস্তু নজরে আসে, যাদের ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। দেখা যাক, সেই রহস্যগুলির মধ্যে ৫টিকে—

উত্তর কাজাখস্তানের মরু অঞ্চলে ৫০টিরও বেশি স্বস্তিকাচিহ্ন গুগল আর্থ মারফত দেখা যায়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের হিসেব মতো এগুলি ২০০০ বছরেরেও বেশি পুরনো। কিন্তু ইতিহাস বলে, অতদিন আগে বিশ্বের কোনও সভ্যতাতেই স্বস্তিকা চিহ্ন ব্যবহার হয়নি। তা হলে কোথা থেকে এল এই চিহ্নগুলি?

ফিলিপিন্সের লুজন দ্বীপের মধ্যেকার একটি হ্রদ, তার ভিতরে একটি দ্বীপ এবং সেই দ্বীপের ভিতরে একটি হ্রদকে দেখায় গুগল আর্থ। প্রকৃতির এইরহস্য সত্যিই ভাবনার খোরাক জোগায় ভূগোলবিদদের।

২০১২ সালে অস্ট্রেলিয় গবেষকদের একটি দল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে, নিউ ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর পশ্চিমে একটি দ্বীপের সন্ধান পান। গুগল আর্থ-এও এটিকে দেখা যায়। কিন্তু কয়েক মাস পরে যখন ওই গবেষক দল সেই স্থানটিতে ফিরে যায়, তাঁরা দেখেন সেখানে দ্বীপের কোনও অস্তিত্বই নেই।

ইরাকের সদ্র্ শহরের বাইরে একটা রক্তবর্ণ হ্রদকে দেখায় গুগল আর্থ। যদিও এমন হ্রদ সম্পর্কে সে দেশের সরকার কিছুই জানে না বলে দাবি করে।সুদানের দারফুর অঞ্চলের ঘর্ব নামক স্থানে এই আজব ‘ঠোঁট’-টিকে দেখায় গুগল আর্থ। এটি আসলে একটি পাহাড় বলেই দাবি ভৌগোলিকদের।

শেয়ার করুন: