টানা নানা বিতর্ক জন্ম দেয়া তারেক রহমানের নামের সাথে এবার নতুন সংযোজন। দেশত্যাগী এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে কয়দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তুমুল বিতর্ক । সেইসব বিতর্কে এবার নতুন হাওয়া দিলো ইসি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যেই জানা গেল তার জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। এমনকি হালনাগাদ ভোটার তালিকাতেও তার নাম নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের ঠিকানায় ভোটার রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭-০৮ সালে যখন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তখন তারেক রহমান তালিকাভুক্ত হননি। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজটি হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে; ওই সময় কারাবন্দি ছিলেন তারেক।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। তখন তারেকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি কেন- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উনি হতে চাননি বলেই ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়নি।’ তবে বাংলাদেশি হিসেবে তারেক রহমানের যে কোনো সময় ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
যে পাসপোর্ট নিয়ে তারেক লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুদিন আগেই বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে ‘সারেন্ডার’ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারেক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে শাহরিয়ার মনে করেন। তবে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারেক রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারকে জমা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েননি।