ঘামের দুর্গন্ধ

মাত্রাতিরিক্ত ঘামছেন, বিশ্রামেও? দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান

খুব গরমেও বা কায়িক শ্রম করলে শরীরে ঘাম ঝরবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অল্প পরিশ্রমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে সেটা চিন্তার
বিষয়। আর বিশ্রামরত অবস্থায় বা অযথা শরীর থেকে ঘাম ঝরা অস্বাভিক বিষয়। বসে বসেই অনেকের হাত ঘেমে যায়, আবার অনেকের পাও ঘামে। আমরা এই ব্যাপারগুলিকে খুব একটা পাত্তা দিই না৷ কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘাম হওয়া রোগের উপসর্গ৷ তাঁদের কথায়, বিশেষ কিছু রোগের উপসর্গ এই অযথা ঘাম হওয়া!

১। যখন হার্ট রক্ত পাম্প করতে অসুবিধা বোধ করে, তখন অনেক বেশি চাপ বোধ হয়। এটি অতিরিক্ত ঘামের কারণ হয়। বেশি ঘাম হৃদরোগের একটি লক্ষণ। চিকিৎসকের কথা, বিনা কারণে ঘাম হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান ৷ অনেক সময় হৃদপিন্ডে সমস্যা হলে এরকম হতে পারে৷

২। রক্তের শর্করার ওঠনামা করা ডায়াবেটিসে খুব স্বাভাবিক। ডায়াবেটিস রোগে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এসব কারণে এই রোগীদের প্রচুর ঘাম হতে পারে। তাই অযথা ঘাম হলে, প্রথমেই রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন ৷ দরকার পড়লে চিকিৎসকের সাহায্য নিন৷ ৩। অনেক সময় অতিরিক্ত উদ্বেগের সময় ঘাম হয়। উদ্বেগ চাপযুক্ত হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। এতে বেশি ঘাম হয়। তাই যারা মানসিক চাপে ভুগছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেও ঘাম হয়। তাই রক্ত পরীক্ষা করে তা জেনে নিন ৷ দরকারে চিকিৎসকের কাছে যান৷ ৫। মেনোপজের (ঋুতস্রাব দীর্ঘমেয়াদি শেষ) সময় অনেক নারীরই হট ফ্লাস ও ঘামের সমস্যা হয়। বুক ও ঘাড়ে বেশি ঘাম হয়।

শেয়ার করুন: