দু’পায়ে ছয়টা করে আঙুল, মন্ত্রীর নির্দেশে স্বপ্নার জন্য তৈরি হচ্ছে স্পেশাল জুতা

কথায় বলে অন্ধকার না এলে অনুভব করা যায় না আলো কী জিনিস। এই প্রচলিত কথাটা নিজের জীবন দিয়ে বুঝছেন এশিয়াডে সোনা জয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন। অন্ধকার কেটে একের পর এক আলোর ঝলক এসে পড়ছে তাঁর জীবনে।

জলপাইগুড়ির স্বপ্নার জন্য স্পেশাল জুতো বানাতে চলেছে একটি ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক অ্যাডিডাস। পিছনে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর।

জাকার্তাতে এশিয়ান গেমস চলাকালীনই মন্ত্রী জেনেছিলেন স্বপ্নার পায়ের কথা। এরপরই ওই স্পোর্টস কিট প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বলেছিলেন, স্বপ্নার জন্য স্পেশাল জুতো তৈরির কথা। ওই সংস্থা সোনার মেয়ের জুতো বানানোতে সবুজ সংকেত দিয়েছে বলেই সাই সূত্রে খবর।

আর পাঁচজন অ্যাথলিটের থেকে স্বপ্নার পায়ের গঠন আলাদা। কারণ তাঁর দু’পায়েই রয়েছে ছ’টি করে আঙুল। তাই সাধারণ স্পোর্টস স্যু-তে ট্র্যাকে নামতে খানিকটা অসুবিধাই হয় তাঁর। এ বার হয়তো সেই সমস্যা মিটতে চলেছে।

একাধিকবার চোট পেয়েছেন। চোয়াল চাপা লড়াই লড়ে আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছেন স্বপ্না। বছর দেড়েক আগে হাঁটুর চোটের পর অনেকেই ভেবেছিলেন আর বোধহয় ট্র্যাকে ফেরা হবে না।

কিন্তু তাকেও হারিয়ে দিয়েছিলেন অথর্ব হয়ে যাওয়া রিকশাচালকের মেয়ে। পাশে পেয়েছিলেন কোচ সুভাষ সরকারকে। একটার পর একটা হার্ডল পেরিয়ে অবশেষে এশিয়াডে সোনা।

অ্যাডিডাসের সিদ্ধান্তে খুশি স্বপ্না। আপাতত তাঁর পাখির চোখ অলিম্পিক। জাকার্তা থেকে কলকাতা ফিরেই বলেছিলেন, আগামী তিন মাস রিহ্যাবে থেকে চোটগুলো সারাবেন। তারপর আবার নামবেন প্রতিযোগিতার ট্র্যাকে।

সাই-এর তরফে স্বপ্নার কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর পায়ের মাপের সমস্ত খুঁটিনাটি ওই সংস্থাকে জানানোর কথা। অক্টোবরের মধ্যেই নতুন জুতো পেয়ে যাবেন স্বপ্না।

শেয়ার করুন: