যেভাবে মোবাইল ব্যবহার করলে ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে

প্রযুক্তি মানুষের জীবনে যতটা আর্শীবাদ নিয়ে এসেছে বিপরীত দিকে ততটাই অভিশাপের মতও কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যাও হয়ে থাকে যা আমরা নির্দিষ্টভাবে জানিনা। সময় যাচ্ছে মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণাও বাড়ছে। রোগের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসছে।

নতুন এক গবেষণায় ব্রেন টিউমারের কারণও বের হয়ে এসেছে। ব্রেন টিউমার দুই ধরনের হয়। ম্যালিগ্যান্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার ও বিনাইন টিউমার। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ‘প্রাইমারি টিউমার’ তৈরি হয় মস্তিষ্কের ভিতরে, আর ‘সেকেন্ডারি টিউমার’ জন্ম নেয় শরীরের অন্য কোনো অংশে। সময়ের সঙ্গে তা বিস্তৃত হয়ে চলে আসে মস্তিষ্কে । কিন্তু কেন হয় ব্রেন টিউমার ?

ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ‘প্রাইমারি টিউমার’ তৈরি হয় মস্তিষ্কের ভিতরে আর ‘সেকেন্ডারি টিউমার’ জন্ম নেয় শরীরের অন্য কোনো অংশে। সময়ের সঙ্গে তা বিস্তৃত হয়ে চলে আসে মস্তিষ্কে ।

চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের মতে, ভিনাইল ক্লোরাইড, এপস্টাইন-বার ভাইরাস এবং আয়নজনিত তেজস্ক্রিয়তা বা আয়োনিক রেডিয়েশন ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ। ইংল্যান্ডে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহারের কারণে জন্ম নিচ্ছে ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার কোষ।

‘জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক হেলথ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছর ধরে ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগিদের ওপর পরীক্ষা করা হয়।

সেখানে লক্ষ্য করা গেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ব্রেন ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৫ সালে প্রতি এক লাখে যেখানে ২.৪ জন ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে সেখান ২০১৫ সালে আক্রান্ত হচ্ছে পাঁচজন।

কেন এই দশ বছরে ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগিদের হার বাড়ল? কারণ খুঁজে বের করতে গবেষকরা মূলত ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগিদের লাইফস্টাইল নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তারা যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি পার্থক্য দেখতে পেয়েছিলেন, সেটি হল মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার।

১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার দ্বিগুণ হয়েছে। আর এ কারণেই গবেষকদের দাবি, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার ব্রেন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে কান এবং কপালের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় জন্ম নেয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ধীরে ধীরে তা ব্রেনে ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই চিকিৎসকরা বলছেন, কানে মোবাইল ধরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা মারাত্মক! প্রয়োজন হলে, লাউড স্পিকারে কথা বলুন।

শেয়ার করুন: