H2O নামে আছে আরও অনেক কিছুই, আসুন জেনে নিই

সম্প্রতি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে এক প্রতিযোগীর মেধা যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘H2O মানে কী?’ উত্তরে সুন্দরী জানান, ‘এটি একটি রেস্তোরাঁর নাম।’ সারা দেশে শুরু হলো আলোচনা-সমালোচনা।

অনেকের অনেক কথার মাঝে তরুণী সেই রেস্তোরাঁর ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই সাথে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এই বলে, H2O মানে জিজ্ঞেস না করে, এটা কীসের সংকেত জানতে চাইলে তিনি উত্তরে ‘পানি’ই বলতেন।

আসলে H2O শুধু পানির সংকেত নয়। বাস্প এবং বরফেরও রাসায়নিক সংকেতও এটা। আর শুধু রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁ নয়, বিশ্বে H2O নামে আছে আরও অনেক কিছুই। আসুন আমরা দেখি, সুন্দরী ওই তরুণী H2O নামে আর কী কী আছে বলে বিচারক ও সমালোচকদের আরও চমকে দিতে পারতেন।

all h20

সুরের জগতে H2O :

১. আমেরিকান একটি পাঙ্ক ব্যান্ডের নাম H2O, যা ১৯৯৪ সালে নিউইয়র্কে গঠিত হয়। একই নামে ১৯৯৬ সালের জুনে নিজেদের প্রথম অ্যালবামও প্রকাশ করেছিল তারা।

২. স্কটিশ একটি পপ ব্যান্ডের নামও H2O, যা ১৯৭৮ সালে গ্লাসগৌতে বসে গঠন করা হয়। এই ব্যান্ডের ‘I Dream to Sleep’ ও ‘Just Outside of Heaven’ শিরোনামের গান দুটি যুক্তরাজ্যের শ্রোতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিল।

৩. পুয়ের্তো রিকান একটি ব্যান্ডের নামও ছিল H2O, যা নব্বই দশকে বেশ কিছু সফলতা পেয়েছিল। তাদের বিখ্যাত পরিবেশনার মধ্যে ছিল ‘Nena’ ও ‘Si Esto No Es Amor’ শিরোনামের গান দুটি। মেক্সিকোসহ বিভিন্ন স্থানে রাউল ভেলাস্কোর শো ‘সিয়েম্প্রে আ দোমিনগো’তে এই গানের সাথে পারফর্ম করেছিলেন ব্যান্ডের সদস্যরা।

৪. শিল্পী হল ও ওটস’র ১১তম যৌথ অ্যালবামের শিরোনাম ছিল H2O, যা ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় আরসিএ রেকর্ডসের ব্যানারে। অবশ্য H2O অ্যালবামের ‘এইচ’ অক্ষরটি শিল্পী হল এবং ‘ও’ বর্ণটি ওটসের নাম বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়েছিল।

ছোট ও রূপালী পর্দায় H2O :

১. রাফ স্টেইনারের (Ralph Steiner) একটি চলচ্চিত্রের নাম H2O, যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯২৯ সালে।

২. ভারতীয় একটি চলচ্চিত্রের নাম ছিল H2O, যা কান্নাড়া ও তামিল ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে।

৩. কানাডার টেলিভিশনে প্রচারিত দুই পর্বের একটি রাজনৈতিক নাটকের নামও ছিল H2O, যা প্রথম সম্প্রচার করা হয় সিবিসি চ্যানেলে, ২০০৪ সালের ৩১ অক্টোবরে। এতে অভিনয় করেছেন পল গ্রস, লেসলি হোপ। বিশেষ দৃশ্যে হাজির হয়েছেন সাবেক রাজনীতিবিদ বেলিন্ডা স্ট্রোনাক।

এছাড়াও

এই নামে আছে একটি বিশেষ সফটওয়্যার, যা বড় ড্যাটা অ্যানালাইসিসের জন্য ওপেন সোর্স মেশিন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। আর H2O.ai এই সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করেছে।

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে সুন্দরী প্রতিযোগী যদি H2O রেস্তোরাঁর নাম বলার পাশাপাশি এই তথ্যগুলোও দিতেন। আর সবশেষে যদি বলতেন ‘এটা পানির রাসায়নিক সংকেত’, তাহলে নিশ্চয় সমালোচকদের মুখের ছিপিটা বন্ধ রাখতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যটা নিজের হোক, কিংবা দেশেরই হোক বাঙালি ওই ললনা এই তথ্যগুলো দিতে পারেননি। আপনি পারবেন তো?

শেয়ার করুন: