কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাদক মামলায় ৬ বছরের এক শিশু! খায়রুল আমিন নামের ওই শিশুটি বৃহস্পতিবার মহেশখালী থেকে পিতার সাথে কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসে।
মহেশখালীর ছোট মহেশখালী এলাকার শামশুল আলমের শিশুপুত্র খায়রুল আমিন কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এস.টি ১৪৭৪/১৫ নং মামলার আসামী। শিশুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৮০ লিটার মদসহ সে হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে কক্সবাজারের প্রবীণ আইনজীবী, লেখক ও সাবেক পিপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, কৌশলে হাতেনাতে ৮০ লিটার মাদকসহ আটক আসামীকে বাদ গিয়েই শিশুটিকে আসামী করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
তিনি এ বিষয়ে ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘পুলিশের তদন্তকারী অফিসার কি তদন্ত করেছেন? এ ধরনের তদন্তকারী অফিসারের তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদকের আসামীদের বিনাবিচারে বিচার করা কি যৌক্তিক?
মহেশখালীর থানার পুলিশ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
শিশুর গলায় আটকে গেল কয়েন, অতঃপর….
পাঁচ বছরের শিশু সালমা খেলার ছলে এক টাকার কয়েন গিলে ফেলে। পরে কয়েনটি তার খাদ্যনালীতে আটকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে শিশুটির বাবা-মা প্রথমে নিজেরাই গলার ভেতর থেকে কয়েন বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
৬ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর চিকিৎসকের চেষ্টায় সেই কয়েনটি বের করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন মালদহের যাত্রাডাঙার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি হাসিউর রহমান। বুধবার বিকেলে বাড়িতেই খেলছিল হাসিউরের দুই সন্তান সালমা আফরোজ ও সালিম রহমান। খেলতে খেলতে এক টাকার একটি কয়েন গিলে ফেলে সালমা।
পরে মৌলপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আবার মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা বুধবার বিকেলে সালমার গলার এক্সরে করানোর পর কয়েন আটকে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. অতীশ হালদার জানান, শিশুটির পেটে খাবার থাকায় জীবনহানির আশঙ্কা ছিল। তাই বুধবার কয়েনটি বের করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
এ জন্য বৃহস্পতিবারের দুপুরে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর চেষ্টা করে কয়েনটি বের করা হয়। কোনোরকম কাঁটাছেড়া ছাড়াই বিশেষ পদ্ধতিতে গলার ভেতরে পাইপ ঢুকিয়ে বের করে আনা হয় কয়েনটি।